ঘুষ ও হয়রানিমুক্ত থানা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নামছে পুলিশ।

আমাদের কোন অভিযোগ থাকলে আমরা পুলিশের কাছে যাই। কিন্তু যদি অভিযোগটা পুলিশকে নিয়েই হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। এই সমস্যা সমাধান করতেই এবার ঘুষ ও হয়রানিমুক্ত থানার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মসজিদে মসজিদে যাচ্ছে পুলিশ।

 ঘুষ হয়রানি এখন খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। এটা পুলিশের জন্য একটা বদনাম। এই বদনাম থেকে মুক্তি পেতে ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের প্রধান উপ মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তার নির্দেশেই ছিয়ানব্বই থানার ওসি জুমার নামাজে অংশ নিয়ে নাগরিকদের দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানের অঙ্গীকার করেছেন তারা।

এক জরিপে দেখা গিয়েছে যে, পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ অনিয়মের অভিযোগ অনেক বেশি। 
ঘুষ-অনিয়মের বদনাম ঘুচিয়ে ঢাকা রেঞ্জভুক্ত ১৩ জেলার ছিয়ানব্বই থানাকে জনবান্ধব করতে চলছে একের পর এক প্রচেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে এবার নিজ নিজ এলাকার মসজিদে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নিয়ে দুর্নীতি-হয়রানিমুক্ত সেবা দেয়ার অঙ্গীকার করছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসিরা।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খান বলেন, ‘আপনাদের কাছে সহযোগীতা চাই। আমাদের থানা হবে স্বচ্ছ। আমরা আর দুর্নীতি দেখতে চাইনা।’

টাঙ্গাইল কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সওগাতুল আলম বলেন, ‘মামলা, জিডি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, চাকরির ভেরিফিকেশন ও অভিযোগ তদন্তসহ কোন ধরনের সেবা নিতে টাকা দিতে হয়না।’
পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সাধারণ জনগণ।পুলিশ যদি অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্হা নেয় তাহলে বেশি ভালো হয় এবং সব জায়গায় এমন হওয়া উচিত। 

মুজিব বর্ষে, পুলিশ হবে জনতার- স্লোগানকে বাস্তব রূপ দিতে উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রধান। তিনি জানান, জনবান্ধব থানার এই প্রচারাভিযান খুব শিগগিরই ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের মসজিদেও ছড়িয়ে দেয়া হবে।
ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মসজিদ একটি পবিত্র স্থান। সেখানে সকল পেশার মানুষকে পাওয়া যায়। সেকারণে এখানে যোগাযোগটা ফলপ্রসু হয়। এতে আস্থা বাড়ে এবং পরবর্তীতে এর ফলাফলটাও ইতিবাচক হয়।’
ঢাকা রেঞ্জের এই উদ্যোগ অন্য রেঞ্জেও ছড়িয়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।